রাষ্ট্রবিরোধী ও নানান উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তারের পর থেকেই কারাগারে আছেন তিনি। তবে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য না দেওয়ার মুচলেকা দিয়ে জামিন পেতে যাচ্ছেন তিনি। আদালত ও তার আইনজীবী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দায়ের করা মামলার শুনানি শেষে এক আদেশে হাইকোর্ট বলেছেন, রফিকুল ইসলাম মাদানির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা, তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, চার্জশিট, মামলার এজহার যাচাই-বাছাই করে আমরা তাকে জামিন দিতে একমত নই। তবে রফিকুল ইসলাম মাদানি যদি কোনো ওয়াজ মাহফিল বা সভায় রাষ্ট্র ও সমাজ বিরোধী এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইন বিরোধী, ধর্মীয় সংঘাত সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান না করার হলফনামা আকারে মুচলেকা দেন তাহলে আমরা তার জামিন বিবেচনা করতে পারি।
এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম মাদানির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা বলেন, ইতোমধ্যে রফিকুল ইসলাম মাদানি কারা কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে হলফনামায় স্বাক্ষর করেছেন। তিনি মুচলেকা দিয়েছেন। ভবিষ্যতে সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য তিনি দেবেন না। এই মুচলেকা সম্বলিত আবেদন আমরা শিগগিরই হাইকোর্টে দাখিল করে সব মামলায় জামিন প্রার্থনা করব। আশা করি সব মামলায় জামিনে তিনি কারামুক্ত হবেন।
রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ৩টার দিকে রফিকুলকে নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে র্যাব। ওই সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। ওই বছরের ৮ এপ্রিল ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানির নামে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। র্যাবের নায়েক সুবেদার আবদুল খালেক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এরপর গাজীপুরের বাসন এবং রাজধানীর মতিঝিল ও তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।