ভারত যে জয়ে চোখ রেখে শেষ ওভারটা শুরু করতে পারবে তা অবশ্য প্রথম ১২ পর্যন্ত মনে হয়নি। ১৩তম ওভার শুরুর আগে ভারতের রান ছিল ৫ উইকেটে ৮৫। শেষ ৮ ওভারে ১২২ রান করতে হতো জিততে।
উইকেটে থাকা সূর্যকুমার যাদব ও অক্ষর প্যাটেল কী দারুণভাবেই না কঠিন এই সমীকরণে মেলানোর চেষ্টা করলেন। ১৩ থেকে ১৯—এই ৭ ওভার ১০১ রান তুলল ভারত। ১৬তম ওভারের পঞ্চম বলে সুর্যকুমার ফিরলেন ৩৬ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৫১ করে। ২৫ বলে ৫৯ রান—সমীকরণটা তখন অনেকটাই ‘সহজ’। সূর্য ফেরার আগেই ২০ বলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ফিফটি করে ফেলেছেন অক্ষর।
সূর্যকুমার ফেরার পর অবশ্য অক্ষরের ব্যাটের তেজ একটু কমে যায়। ৩১ বলে ৬৫ করার পথে ৬টি ছক্কা মারা অক্ষর শেষ ১১ বলে মাত্র ১৫ রান নিতে পারেন । তবে মাভির ১২ বলে ২৬ রান ভারতকে আশা দেখিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু শানাকাই শেষ পর্যন্ত জিতলেন।
ব্যাট হাতে ২২ বলে ৫৬ করার পথে ৬টি ছক্কা মেরেছেন শানাকা। শিবম মাভির করা ইনিংসের শেষে ওভারের চতুর্থ বলে যার পঞ্চমটি মেরেই সাঙ্গা-জয়ার রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসে এ ছাড়া ব্যাটকে চাবুক বানিয়েছেন কুশল মেন্ডিস ও চারিত আসালাঙ্কাও। ব্যাটিং উদ্বোধন করা কুশল ৩১ বলে ৪ ছক্কায় ৫২ ও আসালাঙ্কা ৪ ছক্কায় ১৯ বলে করেছেন ৩৭ রান।
আগামী শনিবার রাজকোটে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টি।