সন্ধ্যায় নিখোঁজ হওয়া মায়ের লাশ সকালে খুঁজে পেলেন নিহতের সন্তান সুজন হোসেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় সুজনের মা শাহানা খাতুন নিখোঁজ হন। শনিবার সকালে মেহেরপুর সদর উপজলার কুলবাড়িয়া গ্রামের তালপট্টি মাঠে সুজন হোসেন মায়ের লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় ও পুলিশখে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। শাহানারা খাতুন গাংনী উপজেলার সগলপুর গ্রামের মৃত রাহেদুল ইসলামের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননি।
নিহত শাহানারা খাতুনের ছোট ছেলে সুজন হোসেন জানান, তার মা গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নানী বাড়ি যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। এসময় মায়ের মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিলো। সকালে মাঠে কাজে যাওয়ার সময় দেখি মায়ের মরদেহ পড়ে আছে। এসময় আমি লোকজনকে ডাক দেই। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে নিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজন হোসেন জানান, শাহানারার স্বামী প্রায় ২০ বছর আগে আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছেন। তারপর থেকে দেবর লতিফের সাথে সম্পর্ক ছিলো। পূর্বে লতিফ শাহানারা খাতুনকে মারধর জালা যন্ত্রণা দিত। হঠাৎ কিভাবে এমন ঘটনা ঘটলো বুঝতে পারছি না।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হয়েছে। প্রথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাছাড়ার তার মুখ দিয়ে লালা ঝরছে। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে। তিনি আরো জানান, সুজন হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।