ডেস্ক রিপোর্ট:
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে হুমায়ুন রশিদ প্রকাশ সুমন (৩৪) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, লক্ষ্মীপুর থেকে ইয়াবা ক্রয় করতে এসে ইয়াবা কারবারিদের হাতে সে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য আরেকজন গুরুতর আহত হয়।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনা পাহাড়ি এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হালিম।
নিহত ব্যক্তি হলেন-লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হাসিবুর রহমানের ছেলে। আর আহত ব্যক্তি একই জেলার চন্দ্রগঞ্জ উপজেলার হাসেমদি গ্রামের এনজু মিয়ার ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম (৩৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর থেকে আসা দুই ব্যক্তি কক্সবাজারের একটি হোটেলে রাত্রিযাপন করেন। এরপর শুক্রবার বিকেলে টেকনাফ উপজেলা হ্নীলা স্টেশন এলাকায় আসলে হ্নীলা মরিচ্যাঘোনা এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মাদক কারবারি ইব্রাহিম (২০) ও একই এলাকার জাফর হোসেনের ছেলে রাসেল (২১) ও ফয়সাল তাদের মরিচ্যাঘোনায় নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তাদের সাথে ইয়াবা ব্যবসার লেনদেনকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের দুই ব্যক্তিকে তারা পাহাড়ে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে হুমায়ুন রশিদ সুমন মারা যান এবং অন্যজনকে আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে।
নিহত হুমায়ুনের স্ত্রী শাহেনা আক্তার মিথিনা জানান, আমার স্বামী আর জহিরুল সিলেট হয়ে টেকনাফে গেছেন। যাওয়ার সময় তারা ৩ লাখ টাকাও নিয়ে গেছেন বলে জেনেছি। অভিযুক্তরা আমাকে বারবার ফোনে বলেছিল টাকা না দিলে তাদের মেরে ফেলবে। তবে সেটা আমি বিশ্বাস করতে পারিনি। এখন সত্যিই মেরে ফেলেছে। তিনি স্বামী হত্যার বিচার দাবি করেন।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হালিম জানান, হ্নীলা মরিচ্যাঘোনা পাহাড়ি এলাকা থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত অবস্থায় আরও একজনকে পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।