ট কাটিয়ে নেইমার মাঠে ফিরতেই শুরু হলো ব্রাজিলের গোল উৎসব। আর সে উৎসব যে কত ভঙ্গিতে উদযাপন করা যায়, সেটি দেখিয়ে দিল সেলেসাওরা। কাতার বিশ্বকাপ এখন পর্যন্তও এমন বাহারি উদযাপন দেখেনি। তাই সে অভাব মিটিয়ে দলের এবং ভক্তদের অনুপ্রাণিত করলো পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টায় কাতারের স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল-দক্ষিণ কোরিয়া। ম্যাচটিতে দক্ষিণ কোরিয়াকে নাস্তানাবুদ করে ৪-১ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। প্রতিটি গোলের পর খেলোয়াড়েরা যে উদযাপন করেছিল, তা এক কথায় অনন্য! কখনও নিজেরা, কখনও কোচ তিতেকে নিয়ে চলেছে সে উদযাপন।
প্রথমার্ধের ৬ মিনিটে ব্রাজিল স্ট্রাইকার ভিনিসিয়াস জুনিয়র করেছিলেন প্রথম গোল। জালে বল জড়াতেই উদযাপন শুরু। কাতার বিশ্বকাপে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে যে উদযাপন। সতীর্থদের কাঁধে হাত দিয়ে গোল হয়ে, একসঙ্গে পা দুলিয়ে উদযাপন। সঙ্গে গানের কোরাস। যেন ফুটবল মাঠে সাম্বার ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন নেইমাররা।
দ্বিতীয় গোলটি এসেছিল পেনাল্টি থেকে। গোল করেছিলেন নেইমার। নিজের স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে পেনাল্টি শুট করে নেইমার তখন উদযাপন করেছিলেন পুরোনো স্টাইলেই। কানের দুপাশে হাত উচিয়ে খানিকটা জিহ্বা বের করে হেলেদুলে দৌঁড়ে থেমে পড়া। সতীর্থ ও ভক্তরাও উল্লাস করেন নেইমারের এমন উদযাপন দেখে।
তৃতীয় গোল করেছিলেন রিচার্লিসন। কোরিয়ার রক্ষণ থেকে যে কৌশলে বল দখল করে সতীর্থকে দিয়েছিলেন তিনি, তাকেই হয়তো ফুটবল শৈলী বলে। থিয়াগো সিলভার সহায়তা নিয়ে জালে বল ঢোকানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন রিচার্লিসন নিজেই। এরপরেই উদযাপন। এবার সতীর্থদের পাশাপাশি উদযাপন চলল কোচ তিতের সঙ্গেও। গোল হয়ে দাঁড়িয়ে কাঁধে হাত দিয়ে পা দুলিয়ে কোরাস। তিতেও না করলেন না এমন উদযাপন দেখে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোচের এমন উদযাপন দেখে ব্রাজিল ভক্তরাও নিশ্চয়ই মুগ্ধ হয়েছেন।
চতুর্থ গোল পেয়েছিলেন লুকাস পাকেতা। সেবারও হয়েছিল এমনই উদযাপন। হয়তো কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিলের এই উদযাপন দেখে অন্যরাও আয়ত্ত করার চেষ্টা করবেন। নিজেদের জয়কে যাতে এভাবে স্মরণীয় করে রাখা যায়। এ দিন অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়া তেমন উদযাপন করার সুযোগ পায়নি। ৭৫ মিনিটে পাইক সেউং-হোর গোলটি হয়তো হারের ক্ষততে একটুখানি সান্ত্বনার প্রলেপ ছাড়া আর কিছুই নয়।
আগামী ৯ ডিসেম্বর রাত ৯টায় কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল।