নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নৃসংশ ভাবে হত্যাকান্ডের আত্মস্বীকৃত খুনি মেজর ডালিমের ভাতিজি যখন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতির পুত্রবধু তখন তৃণমূলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ, হতাশা, সমালোচনা এবং ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হবে এটা অস্বাভাবিক বিষয় নয়। বরং- এমন ব্যক্তিকে আওয়ামীলীগের কমিটিতে পদ দেয়া আত্মঘাতী সিদ্ধান্তই হবে বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়- আদাবর থানা ৩০ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদ্য বিদায়ী সভাপতি চরমোনাই পীরের মুরিদ প্রায় ডজনখানিক মামলার আসামী হাজি শাহজাহান মিয়া ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের পদে থাকাকালে মূলতঃ কৌশলে জামাত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে গেছেন। গোপন সূত্রে জানা যায়- বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি মেজর ডালিম পরিবারের সাথে আওয়ামীলীগের এই সাবেক ওয়ার্ড সভাপতি হাজি শাহজাহান মিয়ার সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। শুধু তাই নয়, সেই সম্পর্ক আরও মজবুত করতে হাজি শাহজাহান মিয়া তার নিজ পুত্র সাদাতের সাথে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি মেজর ডালিমের ভাই বিএনপি নেতা কবির হোসেনর মেয়ের সাথে বিবাহ সম্পূর্ণ করে পারিবারিক ভাবে তাদের অবস্থান আরো পাকাপোক্ত করেছেন। বর্তমানে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক এই সভাপতি হাজি শাহজাহান মিয়া ও বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি মেজর ডালিম বর্তমানে দুজন বেয়াই। যা নিয়ে তৃণমূলে চলছে চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার হযরতপুরের কামারচরে খুনি মেজর ডালিমের পৈত্তিক বসতভিটা।সে ডালিমের চাচাতো ভাই বিএনপি নেতা কবির হোসেনের মেয়ের সাথে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামিলীগের অন্তর্গত আদাবর থানার ৩০ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি হাজি শাহজাহান মিয়ার ছেলে সাদাতের সাথে বিয়ের খবর সম্প্রতি ফাঁস হলে আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশে একাধিক কর্মীরা জানান, বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নাম করে মুজিব কোর্ট ব্যবহার করে একদল হাইব্রীড আগারটাও খাচ্ছে আবার গাছের নিচেরটাও কুড়াচ্ছে! নীতি-আদর্শের দোহায় দিয়ে বর্তমানে এসব দুমুখো নেতা নামক আগাছাগুলো দলটার বারোটা বাজাচ্ছে। এদের কারণে আওয়ীলীগের সকল উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের তথ্য দেশবাসীর নিকট পৌঁছাচ্ছে বলেও দাবি করেন অপর আরেক কর্মী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আদাবরের অপর এক দলীয় নেতা জানান, বর্তমানে রাজনীতির সমীকরণ মেলানো খুব কষ্টকর! জামাত-বিএনপির জোট সরকারের সময় হামলা-মামলা উপেক্ষা করে জীবন বাজি রেখে রাজপথে লড়াই-সংগ্রাম এবং আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি। আর সেই জামাত-শিবির-বিএনপির তান্ডব, আগুনসন্ত্রাস ও নাশকতার মামলায় যে বিএনপি নেতা কবির আটক হলো সেই কবির কে বাঁচাতে আওয়ামী লীগ নেতা দৌঁড়াদৌড়ি শুরু করলো। মামলা থেকে বাঁচালো! আসলে- কবির তো বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি মেজর ডালিমের ভাই! বর্তমানের রাজনীতি বুজা মুশকিল কে কাকে বাঁচাচ্ছে আর কে কাকে ডুবাচ্ছে! এসব কানামাছি খেলা বন্ধ করার দাবি জানিয়ে ঊর্ধ্বতন নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরও বলেন- এসব বন্ধ না করলে ভবিষ্যতে আবারো খেসারত দেয়ার জন্য আপনারা প্রস্তুত হোন।
এদিকে, সদ্য বিদায়ী সভাপতি খুনি মেজর ডালিমের বেয়াই হাজি শাহজাহান মিয়া নতুন কমিটিতে পদ বাগিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। গোপন সূত্রে জানা যায়- উত্তর এবং কেন্দ্রের বিভিন্ন সিনিয়র নেতাদের বাসায় আবারো পদ বাগিয়ে নিতে হাজি শাহজাহান মিয়া বিভিন্ন ভাবে নিয়মিত ধর্ণা দিয়ে যাচ্ছেন।