মোঃ আল আমিন দূররানী সবুজ, একাধারে মডেল ও অভিনেতা। বহুবছর আগে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালনায় ‘একটেল ইজিলোড’র বিজ্ঞাপনে ইউনূস চরিত্রে অভিনয় করে মূলত আলোচনায় চলে আসেন তিনি। সেই সময় তার নিজের নামের বাইরে তিনি ইউনূস নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। যদিও বা তার আগে তিনি আশফাক নিপুণের পরিচালনায় “মায়া” নাটকে অভিনয় করেছিলেন, দীপা খন্দকারের সঙ্গে। এইচ এসসি উত্তীর্ণ আল আমিন ২০০৫ সালে প্রথম ঢাকায় এসে একটি সিনেমায় নিয়মিত অভিনয় করছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নাটকের নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। নাটকের নাম “গল্পটা মজনু’র। নাটকটির গল্প ভাবনা ও পরিচালনায় আছেন সামছুল হুদা। এরই মধ্যে নাটকটির দৃশ্য ধারন ও সম্পাদনার কাজ শেষ হয়েছে। এতে নতুন আরো বেশ চ্যানেল “আর্টবক্স”-এ প্রচার হবে বলে জানিয়েছেন “আর্টবক্স”-এর কর্ণধার সামছুল হুদা। এই নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন আল আমীন ছাড়াও সাবরিনা রহমান সোনিকা, আবুল হোসেন মজুমদার ও সরকার আসিফ।
আল আমিনকে নিয়ে নাটক প্রসঙ্গে সামছুল হুদা বলেন, গল্পটাই মূলত আল আমিন ভাইকে কেন্দ্র করেই লেখা। যে কারণে তাকে নিয়েই নাটকটি নির্মাণ করেছি। আল আমিন ভাই অনেক শ্রম দিয়েছেন, কষ্ট করেছেন। ভীষণ সহযোগিতাও করেছেন। যে কারণে নাটকটি মন দিয়ে নির্মাণ করতে পেরেছি। আশা করছি ভালো লাগবে দর্শকের।



আল আমিন সবুজ বলেন, ‘গল্পটা মজনুর’ নাটকে আমি নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছি। আমাকে নিয়ে ভাবার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ সামছুল হুদাকে। এটি মূলত ভালোবাসার গল্প, না পাওয়ার গল্প। আশাবাদী আমি নাটকটি নিয়ে।’
উল্লেখ্য, আল আমিন প্রথম মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালনায় “টেলিভিশন” নাটকে অভিনয় করেন। তার অভিনীত প্রথম ধারাবাহিক নাটক ফারুকীর ‘৪২০’। এরপর তিনি আশফাক নিপুণের ‘মুকিম ব্রাদার্স” রেদওয়ান রনির “রেডিও চকলেট”, “রেড সিগন্যাল”, মাসুদ সিজান এর ‘চলিতেছে সার্কাস’সহ আরো বেশকিছু ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেন। আল আমিনের বাবা মোঃ এসকান্দার আলী দুররানী, মা মনিয়ারা বেগম। তার গ্রামের বাড়ি বারশালের মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নে। তার স্ত্রী সুমী, দুই ছেলে আব্দুল্লাহ আল শাফিয়িন, জায়েদ আল সাবিত।
গোয়েন্দা রিপোর্ট/ফরিদুল আলম ফরিদ